পাকিস্তানকে যত সুন্দর ভাবা হয় ভারতের পক্ষ থেকে সেই পাকিস্তান বারবার আঘাত হেনেছে ভারতের ভূখণ্ডে আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি

1. দিব্যেন্দু গোস্বামী
2.  ওয়েস্ট বেঙ্গল

পাকিস্তানকে যত সুন্দর ভাবা হয় ভারতের পক্ষ থেকে সেই পাকিস্তান বারবার আঘাত হেনেছে ভারতের ভূখণ্ডে আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্পূর্ণ পরি পরিমাপের তারা সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে ভারতবর্ষের এবার অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং ক্যাপ ক্যামেরা নিয়ে তারা জম্মু ও কাশ্মীরে, আজ জম্মু বিভাগ জুড়ে সম্পূর্ণ বন্ধ পালিত হচ্ছে কারণ পহেলগাম পর্যটন কেন্দ্রে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সকল স্তরের সংগমঠন বন্ধের ডাককে সমর্থন করেছে। আকাশবাণী জম্মু সংবাদদাতা জানিয়েছেন যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, মানুষ ন্যায়বিচারের দাবিতে। জম্মুতে, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সংগঠন রাস্তায় নেমেছে, যার ফলে শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য সংবেদনশীল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানোয় বাজার, দোকান এবং পরিবহন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে সম্পূর্ণ বন্ধের পর স্বাভাবিক জীবনচযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। জম্মু শহরে বেশিরভাগ দোকান, জ্বালানি স্টেশন এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শহর জুড়ে কেবল প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা ছিল। গণপরিবহনও খুব কম ছিল, তবে ব্যক্তিগত যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছিল। অঞ্চল জুড়ে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অঞ্চল জুড়ে বেসরকারি স্কুলগুলিও বন্ধ ছিল, তবে সরকারি স্কুলগুলি খোলা ছিল। নিহতদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সংহতির নিদর্শন হিসেবে, জম্মু ও কাশ্মীরের বেসরকারি স্কুল অ্যাসোসিয়েশন (PSAJK) জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে সমস্ত বেসরকারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই অঞ্চলের অন্যান্য জেলা সদর দপ্তরেও এই বন্ধের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অনন্তনাগ জেলার পহেলগাম রিসোর্টের বৈসরান তৃণভূমিতে হামলার প্রতিবাদে জম্মুতে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক-ধর্মীয় সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন এবং নাগরিক সমাজ গোষ্ঠী এই বন্ধের ডাক দিয়েছে। ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, পিপলস কনফারেন্স এবং আপনি পার্টি এই হামলার প্রতিবাদে এই বন্ধকে সমর্থনকারী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ছিল। অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং শহরের প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে এবং অন্যান্য জেলায় নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং স্থাপনাগুলিতে বাহিনী কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে। শহরের পাশাপাশি অন্যান্য জেলায় বেশ কয়েকটি স্থানে চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে যানবাহন এবং লোকজনের তল্লাশি এবং তল্লাশি চালাচ্ছিল।