![](https://triloknews.com/wp-content/uploads/2024/10/IMG-20240916-WA00171-2.jpg)
দিব্যেন্দু গোস্বামী
বীরভূম, ওয়েস্ট বেঙ্গল
কাঁকরতলা থানা এলাকার জামালপুর গ্রামে অবৈধ বালিঘাট রয়েছে। অজয় নদী থেকে বালি তোলা হয় বলে অভিযোগ। এলাকার বালিঘাট দখলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র বিবাদ দেখা যায়। তারপরই শুরু হয় বোমাবাজি। মুহুর্মুহু বোমাবাজিতে কেঁপে ওঠে এলাকা। বোমার আঘাতে সাত্তার নামে এক যুবক গুরুতর জখম হন। তাঁর একটি পা বোমার আঘাতে উড়ে গিয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে দীর্ঘদিন তারা তৃণমূল কংগ্রেস করে আসছে অপর একদল তৃণমূল কর্মীরা বালি তোলার জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছিল। তারই ফলে এই ধরনের বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। অজয় নদের বালি তোলার যে অবৈধ ব্যবসা চলছে আর সেই ব্যবসাকে আরো ত্বরান্বিত করেছে বর্তমান সরকার। যার ফলে এই ধরনের ঘটনা বারবারই উঠে এসেছে শিরোনামে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক প্রশাসনিক বৈঠকে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় কে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন বালির ঘাটের বিষয় নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বীরভূমে অবৈধ বালির কারবার চলছে সরজমিনে তা দেখে জেলাশাসক যেন অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে জেলাশাসক কয়েকটি অবৈধ বালি খাদান সিল করে দিলেও পক্ষান্তরে বিভিন্ন নেতার হাত ধরে ওই সমস্ত বালি খাদান গুলি পুনরায় চালু হয়েছে। সেই বালি খাদানের বকরা নিয়ে মঙ্গলবার জামালপুরে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দল বিজেপি। এরপর পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও বোমাবাজিতে আহত হয়েছে সাত্তার শেখ নামে এক ব্যক্তি। তার পা সম্পূর্ণ উড়ে গিয়েছে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে তাকে নাগড়াকান্দা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। শুধুমাত্র অজয় নদ নয়, বীরভূম জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ময়ুরাক্ষী নদী। সেখানেও অবৈধভাবে বালি তোলার প্রক্রিয়া এখনো পর্যন্ত চলছে যার ফলস্বরূপ এখানেও হঠাৎ হঠাৎ গন্ডগোলের খবর পাওয়া যায়। পুলিশ এ ব্যাপারে কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে না বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেওয়া সত্বেও কেন এখনো পর্যন্ত ওই সমস্ত বালি খাদান গুলিকে বন্ধ করা গেল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একটিমাত্র লাইসেন্স ইস্যু করে পাঁচ ছয়টি বালি খাদান তৈরি করেছে ওই সমস্ত বালি মাফিয়ারা। সেখান থেকে বালি তুলে অনায়াসে পাঠিয়ে দিচ্ছে অন্যান্য জেলা থেকে রাজ্যে। এর কোন সুবন্দোবস্ত এখনো পর্যন্ত করতে পারিনি প্রশাসন। বালি খাদান বন্ধ করতে একেবারে বীরভূম জেলা প্রশাসন ব্যর্থ একথা বলা যেতেই পারে।