ताज़ा ख़बरें

পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ভাঙ্গা হলো শীতলা দেবীর মূর্তি

মা শীতলা দেবীর মূর্তিতে আগুন লাগিয়ে ভাঙচুর করল আত্রীক মোল্লা নামে এক ব্যক্তি

দিব্যেন্দু গোস্বামী

বারুইপুর, সাউথ ২৪ পরগনা

 

 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। তাদেরকে পাত্তা দেবেন না। হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে তারাই। একটি সম্প্রদায়ের লোকদেরকে ইঙ্গিত ভাবে তিনি বলেছিলেন যে গরু দুধ দেয় সে গরুর চাটও খেতে ভালো লাগে।এই কথা যখন তিনি সমস্ত পশ্চিমবঙ্গবাসি এবং ভারতবাসীর কাছে তুলে ধরতে চাইছেন। তখন পশ্চিমবঙ্গেই ঘটলো মুসলিম দ্বারা প্রতিমা ভাঙ্গার কাজ। এক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ গতকাল রাত্রে একটি শীতলা মন্দিরে ঢুকে বিগ্রহ ভাঙচুর এবং তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়। আত্মিক মোল্লা নামে ওই ব্যক্তি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর অঞ্চলের যে মা শীতলা মন্দির রয়েছে সেটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে চুন দিয়ে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এইভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে কারা? তা জানা অতি অবশ্যই দরকার সরকারের। শুধু আগুন ধরিয়ে যে ক্ষান্ত হয়েছে তাই নয় সে ওই মূর্তিটিকে যতটা পেরেছে ভাঙ্গার চেষ্টাও করেছে। সে ভেবেছিল হয়তো ভোর হতে না হতেই বেরিয়ে যাবে গ্রাম থেকে। কিন্তু গ্রামে মানুষদের সন্দেহ হয় যে এই লোকটি কোথা থেকে এসেছে? গ্রামের লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করে তার নাম কি? সে তার নাম বলার পরই তাদের সন্দেহ হয় নিশ্চয়ই কিছু বাজে কাজ করে এসে পালিয়ে যাচ্ছে। এরপরই তাকে ধরে গ্রামের মধ্যে নিয়ে আসা হয় এবং দেখা যায় লোক মারফত ওই শীতলা মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এই আত্মিক মোল্লা নামে এই ব্যক্তি। এর পরই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ ওই অপরাধীকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় মানুষজন বাধা দেয় এবং করা শাস্তির দাবি জানায়। পুলিশের উপস্থিতিতেই ব্যক্তিকে আটকে রাখা হয় একটি পোলের মধ্যে। সেখান থেকে পুলিশ নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে স্থানীয় মহিলারা বাধা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মহিলা পুলিশ ঘটনার স্থলে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন তাকে ছাড়া যাবে না। কারণ আইনের হাতে পড়লে ই ওই ব্যক্তি কয়েক দিন পরই ছাড়া পেয়ে যাবে। এই ঘটনা কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশকে বিক্ষোভ দেখাতে আরম্ভ করে গ্রামবাসী, তারা বলে এটা হিংসা ছড়ানোর এক ঘটনা। হিংসা ছরানোর জন্য তাকে আইনের চোখে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে তার উপযুক্ত শাস্তি হবে। অন্যথায় তাকে অন্য কোন মামলায় অভিযুক্ত করলে তাড়াতাড়ি সে জেল থেকে বেরিয়ে আসবে। তবে প্রশ্ন একটা থেকেই যায় বাংলাদেশে যা ঘটছিল পশ্চিমবঙ্গে আমরা তো শান্তিতেই ছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লো কি করে? এই ঘটনা আস্তে আস্তে গ্রাস করছে অনেক রাজ্যকে। সরস্বতী পূজা থেকে শীতলা মন্দির এবং বিগ্রহ ভাঙ্গা কোনটাই বাকি রাখছে না ওই সমস্ত দুষ্কৃতীরা। তাই তাদের শাস্তি কঠোর হওয়া দরকার এমনই দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা

Show More
Back to top button
error: Content is protected !!