
দিব্যেন্দু গোস্বামী
পশ্চিমবঙ্গ
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলন এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করার পরে শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করেছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবে দেখা শ্রম কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে পরের দিন আপিলে তার খালাস তাকে দেশে ফিরে আসতে এবং নিয়োগকে সহজতর করেছিল। তিনি ২০২৪ সালের ৮ই আগস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসে।তিনি তালিকায় শীর্ষ ৫০ ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন। মোহাম্মদ ইউনূসের এই ছোট্ট কথায় বড় জীবনী তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আমরা ভারতবর্ষের বুকে হিন্দুদেরকে আক্রমণ নিপীড়ন অত্যাচার লুণ্ঠন ধর্ষণ সব কিছুর পেছনে সরাসরি ভাবে মোহাম্মদ ইউনূসের হাত রয়েছে এরকম প্রমাণ হয়তো হাতেনাতে পাওয়া যাবে না। কিন্তু কিছুটা সংবাদমাধ্যমের মারফত আমাদের কাছে এসে পৌঁছাচ্ছে আর উত্তেজিত হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ।সরকার চালাতে না পারে তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নিতে পারেন। কিন্তু তা তিনি করবেন না। ৮৪ বছর বয়সে তিনি আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন নতুন করে দল তৈরি করে নির্বাচনে লড়বেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে তার রাজত্বকালে অর্থাৎ বর্তমানে যে রকম ধরনের কাজ করে চলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা কারোর প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল ছিলেন না
এখনো নেই। তাহলে তার কি যোগ্যতা আছে ওই চেয়ারে বসার। আর ভারতকেও আমি মনে করিয়ে দিতে চাই। ভারতের যে সমালোচকরা রয়েছেন তারা এখনো পর্যন্ত কেন চুপ বুঝতে পারা যাচ্ছে না। কেউ কেউ আবার মোঃ ইউনুসের নোবেল পাওয়া যোগ্য ব্যক্তি নন বলে নোবেল কমিটিকে জানানো হয়েছে তার কাছ থেকে নোবেল পদক ফেরত নেওয়ার জন্য
কিন্তু একবারের জন্যও কেউ ভাবেনি ভারত বর্ষ ২০০০ সালে তাকে গান্ধী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল। সেই গান্ধী পুরস্কার এখনো পর্যন্ত কেন তার কাছ থেকে নেওয়া হল না? এই কথাটা জানতে চাই আমরা। সেখানেও তো শান্তির উদ্দেশ্যে ছিল। তাহলে এখন যদি ওই পুরস্কার ফিরিয়ে নেয় ভারত তাহলে অপমানিত হবে মোঃ ইউনুস। বোঝা যাবে ভারত কতটা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা কে কি চোখে দেখছে। নোবেল তো দূরে থাক গান্ধী পুরস্কার যদি ওর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যায় তাহলে অনেকটা সাহসী হয়ে উঠবে ভারতীয় হিন্দুরা এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা, প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০০০ সালে তাকে যখন পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তখন সেখানে সরকার পক্ষ এবং বিরোধীপক্ষের মানুষ এবং তৎ সংলগ্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত আরো কয়েকজনকে মিলে একটি কমিটি তৈরি করা হয় এবং সেই কমিটি থেকেই তাকে এই গান্ধী পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত তার কাছ থেকে কোনো রকমের চিঠি দিয়ে গান্ধী পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কোন আপিল করা হয়নি। তাহলে যেখানে গান্ধী পুরস্কার দেওয়ার জন্য আপিল করা হচ্ছে না সেখানে কিভাবে নোবেল পুরস্কারের জন্য তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এটা দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়।