দিব্যেন্দু গোস্বামী
বীরভূম, ওয়েস্ট বেঙ্গল
বারবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হানা দিচ্ছে চিতা কিম্বা রয়েল বেঙ্গল টাইগার। পরপর এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ায় সম্ভবত আতঙ্কিত ঐ সমস্ত গ্রামের বাসিন্দারা। যদিও কয়েকদিন আগে এক বাঘিনীকে কাবু করতে পারেনি বনদপ্তর বহু কষ্টের পর তাকে বাঘে আনা গিয়েছিল। সেই বাঘিনী উড়িষ্যার জঙ্গল হয়ে ঢুকে পড়েছিল পুরুলিয়া হয়ে বাঁকুড়ায়। পরিশেষে বাঁকুড়া জেলায় বনদপ্তর তাকে ঘুম পাড়ানি গুলি দিয়ে আয়ত্তে এনেছিল বেশ কয়েকদিন পর। তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বনাঞ্চলে। এই ঘটনার কয়েকদিন পরপরই আবারো দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মৈত্রীতে বাঘের হানা। নদী পেরিয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে তারপর মৈথী জঙ্গলে এসে উপস্থিত হয়। পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন পায়ের থাবা দেখেই বুঝতে পারে তাদের গ্রামে ঢুকে পড়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। বনদপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রথমে যে সমস্ত বাড়ি জঙ্গল সংলগ্ন সেগুলিকে জাল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর চলে ওই বাঘটিকে বাগে আনার চেষ্টা। ঘটনাস্থলে রওনা দেয় বনদপ্তরের কয়েকজন কর্মী। কিন্তু কোন সুরাহা তারা করতে পারেনি। তাদের মধ্যে একজন বাঘ কে বাগে আনার চেষ্টা করতেই বনদপ্তরের এক কর্মীর উপর সে হামলাও চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বনদপ্তরের কর্মী এখন হাসপাতালে ভর্তি। পরবর্তীকালে গতকাল রাত্রে বাঘটিকে বাগে আনার চেষ্টা করে বনদপ্তর
সেখানেই তাদের সাফল্য চলে আসে। খাঁচা বন্দি হয় ওই রয়েল বেঙ্গল টাইগার। রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে খাঁচা বন্দি করতে পাড়ায় স্বভাবতই বনদপ্তরের মুখে হাসি ফুটেছে। তাকে ওষুধ পত্র দিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করার পর অবশেষে নদীর জলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং লক্ষ্য করা যায় ওই বাঘটি নদী পেরিয়ে পুনরায় সুন্দরবনের দিকে রওনা হয়েছে। এতেই গ্রামবাসীরা যথেষ্ট খুশি। তারা জানিয়েছে বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। এই বাঘ খাঁচা বন্দি করায় বনদপ্তরকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।
