
- পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই বাড়ছে
বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্ব থাকলেও ঘন ঘন দেখা দিয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। প্রবলভাবে রাজনীতির মেরুকরণ এইভাবে দেখা যায়নি দীর্ঘদিন ধরে। বীরভূম জেলার সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর তাকে তিহার জেলে যেতে হয়েছিল। দুর্দান্ত প্রতাপ শালী অনুব্রত মন্ডল একাই বীরভূম কে সামলে এসেছেন এতদিন। কিন্তু আর্থিক নয় ছয় করার যৌথফলা আক্রমণে তাকে তিহার জেলে রাখা হয়েছিল প্রায় দুই বছর। এর মধ্যে বীরভূমের চিত্র অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। যার স্বরূপ বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তাকে ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয় কাজল শেখ কে। কেন এই পরিবর্তন তা অবশ্যই জানতে পেরেছে গোটা বীরভূম বাসি। এরই মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ অবসম্ভাবী আর এই অসম্ভাবী ছিল বলেই আজকেও এই একই ভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সাধারণ মানুষ কুল পাচ্ছেন না, কোন দিক দিয়ে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করবেন সেই সূত্রে যে সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা নিচের দিকে থাকতেন তারাও এখন দ্বিধা বিভক্ত। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বীরভূমের আসার পরে মনে করা হয়েছিল তিনি হয়তো নিজেকে সংশোধন করতে পেরেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনুব্রত আছে সেই অনুব্রততেই। ফোনেতেই বোলপুর থানার আইসি কে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন এবং চ্যালেঞ্জও করেন তাকে অন্যত অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হবে। এই নিয়ে পুলিশ অনুব্রত মণ্ডলের নামে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু তা কতটা কার্যকরী হবে এই নিয়েও কিন্তু একটা প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনিও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি। কার প্রশ্রয়ে তিনি এত বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বীরভূমবাসি।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা থেকে দিব্যেন্দু গোস্বামী রিপোর্ট বীরভূম