
আর মাত্র ৮ মাস অপেক্ষা তারপরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। মূলত বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে সংঘাতে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ যখন ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। তারপর থেকে উন্নয়নমূলক কাজে হাত লাগায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অন্যান্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা। কিন্তু এর পরেই আস্তে আস্তে মন্থর গতিতে চলতে থাকে কার্যক্রম। বোমা বারুদের কারখানা হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ বিদেশ থেকে আমদানি হয় অস্ত্রশস্ত্র শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে যার কারনে উন্নয়ন অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন অনেকেই। বেড়াতে থাকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছুটা ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে বিরোধীরা প্রায় 77 টি আসন জিতেছিল। পরবর্তীকালে অনেকেই দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান এমনকি কংগ্রেস থেকেও বেশ কিছু নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিপক্ষে উঠে আসে বিজেপি তারাও জোর টক্কর দিয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই দিলীপ ঘোষ এখন নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে ফেলেছেন। ষাট বছর বয়সে বিবাহ করে চমকে দিয়েছেন রাজনীতিবিদদের। বিবাহ করার পরপরই তার রাজনৈতিক জীবনের ছবি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। কেন্দ্রের কোন বড় নেতা এলেও
তাকে আর দেখা যাচ্ছে না। ক্রমশ তার অস্তিত্ব বিলীন হতে শুরু করেছে। যদিও তিনি বলেছেন আমার ইচ্ছা ছিল পশ্চিমবঙ্গের বুকে বিজেপিতে দাঁড় করানো। কিন্তু বিজেপির মধ্যেই বর্তমানে রয়ে গিয়েছে মাফিয়া রাজ। সেই মাফিয়া রাজকে তিনি কোনভাবে পাত্তা দিতে চাইছেন না। এই কারণে তিনি অনেকটাই সরে গিয়েছেন বলে মনে করছেন বিজেপির কর্মকর্তারা। এমনকি দিলীপ ঘোষের যারা অনুচর ছিল তারাও আস্তে আস্তে সরে যেতে আরম্ভ করেছে বিজেপি থেকে। তাই 2011 সালের নির্বাচনে বিজেপিতে এখানে ভালো ফল করতে পারবে না এটা একেবারে সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছে সাধারণ মানুষও। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে যে ৭৭ টি সিট ছিল যা পরবর্তীকালে কমে হয়েছিল প্রায় ২০এর কাছাকাছি বাকি সমস্ত বিধায়কই তৃণমূল কংগ্রেসের নাম লেখায় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গে আসলেও ডাক তিনি পাননি বলে জানান দিয়েছেন। বিজেপি তাকে তালা বন্ধ ঘরে রেখে দিল কেন? তাকে সরিয়ে দেওয়া হল সুচতুর ভাবে এই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা থেকে দিব্যেন্দু গোস্বামীর রিপোর্ট।
“