
দিব্যেন্দু গোস্বামী
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
যাদবপুরে তুলকালাম। মন্ত্রীর গাড়িতে আহত হল এক ছাত্র। তাকে ভর্তি করানো হয়েছে কলকাতা হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল অর্থাৎ শনিবার বিকালের দিকে। যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যক্ষ সমাবেশ ওয়েবকোপা অর্থাৎ অধ্যাপকদের সংগঠন তারা একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। যোগ দিতে এসেছিলেন অধ্যক্ষরা। সেই সময়ই একদিকে এসএফআই এবং অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের দাবি দাওয়া আদায় করে নেওয়ার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে যখনই এসে উপস্থিত হন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেই সময়ে আগুন জ্বলে ওঠে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। ছাত্ররা শিক্ষামন্ত্রীকে দেখেই স্লোগান দিতে আরম্ভ করে এবং গাড়ির পিছু ধাওয়া করে। গাড়িটি তাড়াতাড়ি চালাতে গিয়ে সামনে পড়ে যায় একটি ছাত্র সেই ছাত্রর চোখে আঘাত লেগেছে। একদিকের চোখ নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এরপরই খেপে ওঠে এসএফআই সংগঠন। মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। দুজন সমর্থক আহত হওয়ার কারণে বিক্ষোভ চরমে ওঠে তারপর শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়।তারা কি জন্যে এসএফআইয়ের ছাত্র সংগঠন অধ্যাপকদের কাছে এরকম ধরনের বিক্ষোভ দেখাতে আরম্ভ করল পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এসএফআইয়ের সদস্যরা। আমরা চাই এতদিন ধরে কলেজে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি অবিলম্বে নির্বাচন করা হোক। সংসদ গড়ে তোলা হোক। সেই বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেননি সরকার। কেন করেনি তারই জবাব দিতে হবে। সেই জবাবের দাবিতেই ধুমধুমার কান্ড বেধে গেল যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। যার ফলে তারা ওয়েবকুপা সম্মেলনের শেষে বিক্ষোভ দেখাতে আরম্ভ করে। এমন সময় মন্ত্রীর গাড়ি আসলে বিক্ষোভ আরো বেড়ে যায় এবং গাড়িতে আহত হন দুজন শিক্ষার্থী। কেন এতদিন পর্যন্ত নির্বাচন করা গেল না যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে সেই প্রশ্ন রেখেছেন তারা। অন্যদিকে ব্রাত্য বসু শিক্ষা মন্ত্রী তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন ছাত্রদের এহেন আচরণে তিনি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং থানাতে গিয়েও তিনি রিপোর্ট করেছেন বলে সূত্রের খবর। যারা যারা এই ধরনের কাজ করেছে তাদের সকলকেই গ্রেফতার করতে হবে। এমনই দাবিও তিনি জানিয়েছেন।