
- নাবালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, যাবজ্জীবন কারাবাস অভিযুক্তের
ঘটনা ২০২২ সালের। বাবা বকাবকি করায় ১৪ বছরের এক নাবালিকা বাবার উপর রাগ করে স্টেশনে এসে বসে। আর সেই স্টেশনেই তার সঙ্গে আলাপ জমায় ৩৬ বছরের অমর দাস, বাড়ি বারুইপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত কুলতলির সানকিজাহান এলাকায়। অমর বিবাহিত ছিল। তবে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তার দুশ্চরিত্র স্বভাবের জন্য তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। স্টেশনে বসেই বিভিন্ন কথার জালে অভিযুক্ত অমর দাস বিয়ের প্রস্তাব দেয় ১৪ বছরের ওই নাবালিকাকে। তারপর তাকে নিজের বাড়িতেও নিয়ে আসে। সেই বাড়িতে এবং কিছুদিন পর অন্যত্র নিয়ে গিয়েও বারবার সেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এমনকি কলকাতার পতিতালয়ে তাকে বিক্রির চেষ্টাও করে সে। তবে মেয়েটি নাবালিকা হওয়ায় সেখানে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি তার।
ঘটনাটি কুলতলি এলাকার এক সমাজকর্মীর নজরে আসে। তিনি তৎক্ষণাৎ খবর দেন কুলতলি থানায়। ২০২২ সালের ১ মে ওই থানায় মামলা রুজু হয় তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে। কেসের তদন্তকারী অফিসার ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর শুভময় দাস। তিনি দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে। দ্রুত জমা পড়ে চার্জশিট। শুরু হয় বিচারপর্ব।
সম্প্রতি, রায় বেরিয়েছে মামলার। বারুইপুরের মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত অভিযুক্ত অমর দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন, সঙ্গে ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম থেকে দিব্যেন্দু গোস্বামীর রিপোর্ট