
দিব্যেন্দু মোহন গোস্বামী পশ্চিমবঙ্গ
আজকে আপনাদের সামনে কয়েকটি কথা রাখবো। হয়তো আমার সঙ্গে একমত হতে পারবেন কিম্বা আপনারা দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। আমি যেখানে যেখানে পোস্ট করছি তারা সকলে সমালোচনাও করতে পারেন। তাদের মনোবৃত্তি কি রয়েছে সেটাও আমার জানা দরকার। এটাও আমার লেখালেখির অঙ্গ। হিন্দুদের হয়ে যখন আমি লেখা আরম্ভ করি তখন অনেক কিছুই বলার থাকে। কিন্তু সব কেন যে গুলিয়ে যায়। বুঝতে পারি না। এর আগে আমাকে দু দুবার থ্রেটনিং করা হয়েছিল। আমি বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল যিনি রয়েছেন তাকে জানিয়েও ছিলাম আর বিধানসভা পরিষদীয় দলের নেতা তাকেও মেসেজ করে ঘটনা জানিয়েছিলাম। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এখানে। কেন আমাকে বিজেপির যারা বর্তমানে ভালো জায়গায় রয়েছে তাদেরকে বলতে হবে? কেন? কেন? বলতে হবে? আমি কি বাক স্বাধীনতা হারিয়েছি? সংবিধানের ৪২ এর এ ধারায় সবারই বাক স্বাধীনতা রয়েছে তাহলে কেন আমাকে চুপচাপ করে এই সমস্ত জিনিসগুলো মেনে নিতে হবে? আর যদিও এই ব্যাপার গুলো দেখে নেওয়ার জন্য পুলিশ রয়েছে কিন্তু পুলিশরা কতটা নিরপেক্ষ এটা নিয়েও আমার মনের মধ্যে প্রশ্ন আছে। এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনাদের কাছে আমি সেই প্রশ্নটাই রাখছি যে কেন কেন আমাকে থ্রেটনিং করা হবে, হবে টা কেন? আমি তো কোন মুসলিম রাষ্ট্রে গিয়ে তো বসবাস করছি না আমি আমার জন্মভূমি ভারত মাতার কোলে জন্মগ্রহণ করেছি এবং সেই মা যতদিন থাকবে ততদিন আমি এই পৃথিবীতে থাকবো। তারপর মা কে ছেড়ে আমিও চলে যাব একদিন। যারা এই ধরনের কাজ করছে এই ভারতবর্ষের বুকে বসে তাদেরকে কেন চিহ্নিত করে জেলে ঢোকানো যাচ্ছে না অবিলম্বে তাদেরকে ঢোকানো উচিত। সবচেয়ে আশ্চর্য কি জানেন বাংলাদেশের ঘটনাটা যখন আমি লিখতে আরম্ভ করি পরপর হবে তখন আমার যে সমস্ত মুসলিম বন্ধু ছিল তারা কিন্তু আমার সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। নষ্ট করে দিচ্ছে পুরোপুরি সমাজব্যবস্থাকে। আমার অনেক ফ্রেন্ড ছিল যারা মুসলিম আমি তাদেরকে কাউকেই কিন্তু মুসলিম বলে ভাবতাম না বন্ধু বলে ভাবতাম। ভাই বলে ভাবতাম দাদা বলে ভাবতাম কিন্তু আজ দেখলাম না তাদেরকে দাদা বন্ধু ভাই কোনটাই বলা চলে না। তারা সহ্য করতে পারেনা পুরোপুরি হিন্দুকে। আর সেইটার জন্যই ওরা ফাঁক খুঁজে বেড়ায়। আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি ওদের সব সময় কথা শুনতে হবে। কিন্তু আমি তা পারবো না। আমি হ্যাঁ তো হ্যাঁ, না তো না বলবোই। তাতে কেউ যদি থাকে পাশে থাকবে আর না হলে সে চলে যেতে পারে। তাতে আমার বিন্দুমাত্র কোন আফসোস থাকবে না। সাধারণত দেখা গেল বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে তারা কট্টরপন্থী জেহাদীদের হয়ে কি অন্তরের মধ্যে গেঁথে নিয়েছে ওপারে যে সমস্ত হিন্দুরা রয়েছে?, তাদের হয়ে যখন কথা বলে কেউ তখন তারা খুব ভালো, এটা প্রমাণ করতে কোন অসুবিধা হয় না তাদের। কিন্তু হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার মন্দির ভাঙ্গা সম্পত্তি লুটপাট করা গৃহপালিত পশু নিয়ে যাওয়া এইসব ব্যাপারে যখনই কথা বলা হয় তখনই তাদের আতে ঘা লাগে। সেটা ওপারের মুসলমান হোক বা এপানের মুসলমান হোক। উপলব্ধি করতে পেরেছি যারা চলে গিয়েছে তারা চলে যাক তাদেরকে আর দরকার নেই। কারণ একটা বিষয়ে তো চোখ খুলে দিয়ে গিয়েছে যে তারা ভারতের ভালো কিছু হোক এটা চাই না। তারা এমনও করতে হয়তো আগ্রহী ছিল। যখন ভারত বাংলাদেশের উপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেবে তখনই ভারতবর্ষের ভিতরে দাঙ্গা লাগানোর একটা চেষ্টাও করা হতে পারে। যাতে করে ভারতের অভ্যন্তরে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা চেষ্টা করা। যাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা পুরোপুরি জয়ী হতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যদি ভারত একটি সামরিক মহড়া তৈরি করতো তাহলে তারাও ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে বলতো বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেছে। যে যা পারো অস্ত্র নিয়ে রেডি থাকো। বাহ খুব ভালো এই ধরনের মানসিকতা নিয়ে যারা এ দেশে রয়েছেন আমি তো আর বলতে পারি না যে আপনারা এইভাবে ভারতের অমঙ্গল করছেন আপনাদের জায়গা এটা নয়। এটা আমি বলতে পারি না এটা আমার অধিকার নেই। তবে যারা ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছেন তাদেরকে অনুরোধ করব বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং বই পড়ে কিছুটা জানার চেষ্টা করুন।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আপনারা একটু পড়তে আরম্ভ করুন। কোন ধর্ম গুরু কোন কে কি বলে দিচ্ছে আপনাদেরকে আপনারা সেটাই করতে উদগীব হয়ে রয়েছেন। এটা মানা সম্ভব নয়। আমিও যেমন আমাদের হিন্দুদের মধ্যে যখন কোন বাবা ভুলভাল কথা বলে তার কথা আমি শুনি না। বন্ধ করে দি। কিন্তু আমি বই পড়ি আর জ্ঞান অর্জন করি অন্যদিকে আপনারা ওই সমস্ত আপনাদের ধার্মিক আপনাদের যে ধার্মিক বই রয়েছে সেগুলি পড়তে আরম্ভ করুন । সব বয়েই উল্লেখ রয়েছে শান্তির বাণী সেই ইসলাম হোক হিন্দু হোক বৌদ্ধ হোক জৈন হোক সব ধর্মেই শান্তির বাণী লেখা আছে। আর তা না করে কে কি বলছে তার ওপরে উপরে নির্ভর করে তারা যা বলবেন আপনারা তাই করবেন এটা আপনাদেরকে আরো পিছনে ফেলে দিচ্ছে। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম আপনাদের যদি এই অশান্তি আবহাওয়া আরো অশান্ত করে তোলে তাহলে শান্তিটা আর কোথায় রাখবেন বলে ঠিক করছেন? এখনো বলছি আপনাদেরকে অনুরোধ করছি আপনারা যেটা সত্য সেটা মেনে নিন। ছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে পাঠান। অন্ততপক্ষে মাধ্যমিক পাস করান তাদেরকে। দেখবেন যে তারা একদিন মানুষ হয়ে আপনাদেরকেই তারা মা হিসেবে প্রণাম করে বাইরে বেরিয়ে যাবে। আর না হলে আমি বলতে চাইছি না। তবে খাদ্য বস্ত্র ওষুধ মানুষের এই তিনটি প্রয়োজনীয় জিনিস আপনারা যেখান থেকে পাচ্ছেন সেখানটাকেও একটু সম্মান করতে শিখুন। হঠাৎ করে যেখান থেকে আপনি পাচ্ছেন তাকে অপমান করবেন না। যাই হোক অনেক জ্ঞান দিয়ে ফেললাম। আপনাদের কারোর খারাপ লাগলে আমি দুঃখিত। এটা আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি।
যদি লেখাটা পড়ে কারো ভালো লেগে থাকে দয়া করে একটু শেয়ার বা লাইক করে দেবেন তাহলে অনেকে জানতে পারবে বিষয় ভাবনা টা কি?
![]()