দিব্যেন্দু গোস্বামী
বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ।
আবারো শহরে অগ্নিকাণ্ড কয়েকদিন আগেই নারকেলডাঙ্গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল একজনের। প্রায় ষাটটিরও বেশি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এবারও কলকাতার তারাতলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। যেখানে বসবাস করত প্রায় কয়েকশো মানুষ। সেই সমস্ত ঝুপড়ি গুলিতে আগুন ধরে যায়। ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন একটার পর একটা ঝুপড়িতে আগুন লেগে যায়। কি কারনে আগুন ধরেছে তা পষ্টতো জানা না গেলেও ঘটনা স্থলে একটি ঝুপড়িতে আগুন লাগার পর পরই দশ মিনিটের মধ্যে সেই আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। তারপরেই ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে ঝুপড়িতে এখনো পর্যন্ত জানা গিয়েছে ৩০ টিরও বেশি ঝুপড়িতে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রাণহানির কোন খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বীরভূমের বোলপুরেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে একটি ফ্লাটে নিচের তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিচের তলার একটি মিটার বক্সে হঠাৎই আগুন ধরে যায় তারপরেই সেখানে রাখা ছিল অনেকগুলি বাইক এবং গ্যাসের সিলিন্ডার। বৈদ্যুতিক মিটারের আগুনের ফুলকি গাড়িতে পড়ে সেই গাড়ি যখন পুড়তে আরম্ভ করে তখনই পাশাপাশি যে সমস্ত বাইক গুলি ছিল সেই বাইকেও আগুন ধরে যায়। নিচের তলায় আগুন ধরে গিয়েছে এমনই খবর পেয়ে ছোটাছুটি পড়ে যায় ফ্লাটে, বসবাসকারী মানুষজনদের মধ্যে। তারা সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টাও করে, কিন্তু একজন বৃদ্ধ এবং এক বৃদ্ধা যাদের বয়স ৬৮ এবং ৬৬ বছর তারা সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ে অগ্নি দগ্ধ হন এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছে আরো পাঁচজন ব্যক্তি। তাদেরকে ভর্তি করানো হয়েছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। এই ঘটনায় বারবার ঘটে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। আগুনের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ একপোকার দমকল। এমনই অভিযোগ করেছে এমনই অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বিল্ডিং এর অনুমতি কিভাবে দেওয়া হয় যেখানে দমকলের কোন লাডার ব্যবহার করতে পারেনি, অর্থাৎ তাদের কাছে এই সরঞ্জাম ছিল না। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে এই সমস্ত বহুতলের অনুমতি কেন দেওয়া হয়েছে? যদি দমকলের পরিষেবায় না পাওয়া যায় তাহলে তো বেঘরে মরতে হবে সাধারণ মানুষকে যারা বহুতলে বাসিন্দা। তাদের কেউ ছেরে কথা বলবে না এই বিধ্বংসী আগুন। একটার পর একটা অগ্নিকাণ্ড ঘটতেই থাকবে বে করে মৃত্যু হবে সাধারন মানুষের এর কি সুরাহা রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গরিব দুঃস্থ মানুষ থেকে মধ্যবিত্ত সকলেই।