![](https://triloknews.com/wp-content/uploads/2024/10/IMG-20240916-WA00171-2.jpg)
দিব্যেন্দু গোস্বামী
বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ
পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যার ফলে অনেকটাই কম সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে যাত্রীদেরকে। তাতে-হাতে নাতে ফল মিলেছে। আগে যে সমস্ত বেসরকারি বাস চলতো সেখানে চরম প্রকারের ভিড়ের সামনা সামনি করতে হতো। যা ছিল মানুষের কাছে অত্যন্ত দুর্বিসহ যাতায়াত। কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের মদতে পুনরায় নতুন করে সাজাতে চালাচ্ছে রাজ্য। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস এবং দক্ষিণ বঙ্গ পরিবহন সংস্থার বাস গুলি কে আগে গ্রহণযোগ্যতা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করে বাসযাত্রীরা। সরকারি বাস সরকারি বাস পরিষেবা সমস্ত গ্রাম-গঞ্জের ভেতর দিয়ে যেত না। যার ফলে মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হতো। কিন্তু পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগে নতুন করে বাস কিনে সেগুলিকে বিভিন্ন রোডে চলাচল করার। কিন্তু প্রশ্ন একটাই যে সমস্ত বাসগুলি বিভিন্ন রূটে চলাচল করতো সেখানকার মানুষের উন্নতি হলেও বাস কর্মীদের বাংলা প্রতি অবহেলার চিত্র আমরা আগেও দেখেছি । বাস গুলি রাখা থাকলে সেগুলি আর সারাই করা হয় না। সেই জন্য কমতে থাকে বাসের সংখ্যা, এমনকি বাসে যন্ত্র চুরি হয়ে যায়। যার ফলে ওই সমস্ত পুরনো বাস এখন অকেজ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন যতসংস্থার উদ্যোগে আসানসোল থেকে বাঁকুড়া এবং কালিপাহাড়ি থেকে কল্যাণেশ্বরী রুটের নতুন বাস পরিষেবার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান করলেন বিধায়ক মলয় ঘটক। এছাড়াও ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সব ধরনের নেতা কর্মীরা। কিন্তু প্রশ্ন একটাই ছোটখাটো যে সমস্ত স্টেট বাস রয়েছে সেই বাসগুলির প্রতি কোন যত্ন নেওয়া হয় না। যার কারণে একের পর এক বাস অচল অবস্থায় পড়ে থাকে সিউড়ি ডিপোর মধ্যে। কোন কোন বাসের জরাজীর্ণ অবস্থায় লক্ষ্য করা গিয়েছে। আগে যতগুলি বাস দেওয়া হয়েছিল তার কোনটাই এখন সচল অবস্থায় নেই। যার কারণে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রথম কয়েকদিন গাড়ি সুন্দর ভাবে চললেও এর পরেই খারাপ হয়ে গেলে তা আর মেরামত করার কোন জায়গা থাকে না। এইভাবে যদি ঘটতে থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের পরিবহন ব্যবস্থা আবারও নিচের দিকে নিম্নগামী হবে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।